১৫ আগষ্ট ২০২১ ইং
স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৬ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারণ করা হয়। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়া এর নেতৃত্বে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে একটি শোক র্যালী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ, বঙ্গবন্ধু কর্মকর্তা পরিষদ, বঙ্গবন্ধু কর্মচারী পরিষদ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সুফিয়া কামাল অডিটরিয়ামে ‘বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন ভাবনা ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) প্রফেসর তোফায়েল আহমেদ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়া, মুখ্য আলোচক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বর্তমান ইউজিসি প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল মান্নান আকন্দ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ তোফাজ্জল ইসলাম, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মোঃ আরিফুর রহমান খান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোঃ সিরাজুল ইসলাম তালুকদার, বঙ্গবন্ধু কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি মোঃ ফারুক হোসেন মোল্লা, বঙ্গবন্ধু কর্মচারী পরিষদের সভাপতি মোঃ আরিফুল ইসলাম মন্ডল বক্তৃতা করেন। ভাইস-চ্যান্সেলর তাঁর বক্তৃতায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তাঁদের রূহের মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শুধু একজন রাজনৈতিক নেতাই ছিলেন না, তিনি মানুষ হিসেবে ছিলেন সকল গুণের অধিকারী। তিনি কৃষিশিক্ষা, কৃষি গবেষণা ও সম্প্রসারণের গোড়া পত্তন করেন। তিনি আরো বলেন, আমরা কথা ও পোষাকে নয় কাজের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে ভালবেসে স্ব স্ব অবস্থান থেকে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সক্ষম হবো। মুখ্য আলোচক প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল মান্নান আকন্দ বলেন, বঙ্গবন্ধু আপদমস্তক একজন বাঙালী ছিলেন, বাঙালী জাতির মুক্তির ত্রাতা হিসেবে তিনি বাংলার মাটিতে জন্মেছিলেন, বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়ন ও মুক্তি ছাড়া তাঁর অন্য কোন ভাবনা ছিলোনা। সভার সভাপতি ট্রেজারার প্রফেসর তোফায়েল আহমেদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন রাজনীতির কবি এবং অবিসংবাদিত জাতীয়তাবাদী নেতা। তাঁর মতো জাতীয়তাবাদী নেতা সমসাময়িক বিশ্বে ছিল বিরল। তিনি স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছেন, বাঙালীকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন এবং স্বাধীনতা উপহার দিয়েছেন।
আলোচনা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়াসহ উপস্থিত অন্যান্য শিক্ষকগণ ফলদ ও ভেষজ বৃক্ষের চারা রোপন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত, দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি, মঙ্গল কামনা করে কোরআন খতম এবং বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়। কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সকলে অংশগ্রহণ করেন।